Saturday, 11 November 2017

আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম ২০১৭-২০১৮

যাদের জন্য আয়কর প্রদান বাধ্যতামূলক একজন ব্যক্তি করদাতা ,যার বার্ষিক আয় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকারও বেশি, তাঁকে অবশ্যই তাঁর সকল খাতের আয় প্রদর্শন করে আয়কর বিবরণী দাখিল করতে হবে। তবে মহিলা করদাতা, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে তিন লক্ষ টাকার বেশি হয় তাহলে তাকে ববরণী দিতে হবে। আরো কিছু লোককে বিবরণী দিতে হবে তাদের আয়ে পরিমান যাই হোক না কেন। যেমন-
১. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, বিভাগীয় বা জেলা সদরে অবস্থানকারী কোনো ব্যক্তির যদি – ক. একতলার অধিক বাড়ি থাকে এবং প্রতিতলার আয়তন একহাজার ৬০০ বর্গফুটের অধিক হয় ; খ. যদি একটি মোটরগাড়ি থাকে; গ. যদি একটি টেলিফোন থাকে; ঘ. যদি মূল্য সংযোজন কর আইনে রেজিস্ট্রিকৃত একটি ক্লাবের সদস্যপদ থাকে।
২. ট্রেড লাইসেন্স এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে এমন ব্যবসায়ী। ৩. চিকিত্সক (দন্ত চিকিত্‍সকসহ), প্রকৌশলী, আইনজীবী, চাটার্ড এ্যাকাউটেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট এ্যাকাউটেন্ট  কিংবা অনুরুপ কোন পেশাজীবী সয়স্থার সদস্য। ৪. চেম্বার অব কমার্স আ্যন্ড ইন্ডস্ট্রিজ বা ট্রেড এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। ৫. ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা জাতীয় সংসদের কোন পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী। ৬. সরকারী, আধাসরকারী বা স্বায়ত্বমাসিত সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আহবানকৃত টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী। ৭. যদি কোন ব্যাক্তি টিআইএনধারী হন। ৮. বিবেচ্য আয় বছরের পূর্ববর্তী তিন বছরের কোন একটিতে যার আয় করযোগ্য হয়েছিল। যাদের জন্য মোট আয়ের পরিমাণ নির্বিশেষে রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
৯. যিনি করদাতা হওয়ার ইচ্ছা পোষন করেন।


আয়কর সংক্রান্ত কতিপয় জ্ঞ্যাতব্য বিষয়

১. আয়কর রিটার্ণ, সম্পদ ও দায় বিবরণী এবং জীবন-যাত্রার মান সম্পর্কিত তথ্য ছকে সঠিক তথ্য প্রদান করে ঘোষিত আয়ের ভিত্তিতে কর পরিশোধ করা প্রত্যেক করদাতার নাগরিক দায়িত্ব।
২. প্রদর্শিত আয়ের স্বপক্ষে হিসাবের খাতাপত্র এবং তথ্য প্রমাণ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
৩. আয়কর রিটার্ণ প্রস্তুত এবং তা দাখিলের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক।
৪. জরিমানা পরিহারের জন্য বিধিবদ্ধ সময়সীমার মধ্যে তথ্য প্রমাণসহ আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাঞ্ছনীয়।
৫. সম্ভাব্য সরল সুদ পরিহারকল্পে যথাসময়ে অগ্রিম করের কিস্তি পরিশোধ করা আবশ্যক।
৬.উৎসে কর কর্তনকারী সকল কর্তৃপক্ষের জন্য কর্তনকৃত/ সংগৃহিত কর বিধিসম্মত সময়সীমার মধ্যে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান পূর্বক কর বিভাগে তথ্য প্রেরণ করা আবশ্যক।
৭.সম্ভাব্য জটিলতা পরিহারকল্পে আয়ের কোনো উৎস হতে আয়কর কর্তন করা হলে তার তথ্যাবলী সংগ্রহ করে রাখা আবশ্যক।
৮. কর নির্ধারণী আদেশের বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে আদেশ প্রাপ্তির ৪৫ দিনের মধ্যে আপীল দায়ের এবং আপীল আদেশ প্রাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে হবে।
৯. কর অফিসের নোটিশ বা পত্র  পেলে অবহেলা না করে তার জবাব প্রদান করা বাঞ্ছনীয়।
১০। অফিস আদেশ
 

No comments:

Post a Comment

বিদেশ থেকে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া

এই জন্য অন্তত ১ দিনের জন্য হলেও  husband k বাংলাদেশে আসতে হবে বাংলাদেশে এসে  কাজী অথবা একজন আইনজীবীর কাছে যেতে হবে, সেখানে গিয়ে  তার স্ত্...