Saturday, 11 November 2017

মামলার রি-কল’ ও ‘মামলার কজলিষ্ট’ কী?

“মামলার রি-কল”:- ফৌজদারী মামলায় আসামী জামিনে মুক্তি অথবা মামলার দায় হইতে অব্যাহতি বা খালাসপ্রাপ্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যথা- বিজ্ঞ বিচারক/ ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা বেঞ্চ সহকারী, অফিস সহকারী, স্টেনোগ্রাফার, সেরেস্তাদার, নাজির, সিএসআই অথবা জিআরও কর্তৃক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কিংবা দায়িত্বশীল অফিসার বরাবর প্রেরিত পত্র। মামলার আসামীর জন্য থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা বা সাজা পরোয়ানা অথবা অন্য কোন প্রসেসে জারী করা থাকিলে এবং ঐ আসামী কথিক মামলায় জামিন/অব্যাহতি/খালাস প্রাপ্ত হলে, যে একটি পত্র বা পরোয়ানা থানার ওসি বরাবরে প্রেরণ করা হয়, তাহা “রি- কল” নামেই পরিচিত। “মামলার রি-কল” বা পরোয়ানা ফেরৎ পত্রে আদালতের নাম, মামলা নং, ধারা, জামিন বা অব্যাহতি/খালাসপ্রাপ্ত আসামীর নাম-ঠিকানা, জামিনের তারিখ, আদালতের সীল মোহর ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সীল- স্বাক্ষর দেয়া থাকে॥
“মামলার কজলিষ্ট”:
আমরা বিভিন্ন আদালতে এজলাসে আইনজীবীদের টেবিলে প্রায়শঃই একটি লাল মলাটের খাতা দেখতে পাই, এটিই ঐ আদালতের মামলার কজলিষ্ট। কজলিষ্টে সংশ্লিষ্ট আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর নং, আগামী ধার্য্য তারিখ, মামলার পর্যায়/আদেশ/রায় ও বাদী-বিবাদীর নাম লেখা থাকে। বাংলাদেশের মহামান্য সূপ্রীমকোর্ট-হাইকোর্ট থেকে শুরু করে ট্রাইব্যূনালে, জজ/ম্যাজিষ্ট্রেট সহ প্রত্যেকটি আদালতে একই আদলের এই ‘মামলার কজলিষ্ট’ আছে। এই মামলার কজলিষ্ট সর্ব সাধারণের জন্য উন্মূক্ত। এই কজলিষ্ট মহামান্য হাইকোর্টের অধীনে সরকারী মূদ্রণালয় থেকে মূদ্রিত এবং কজলিষ্টের প্রত্যেকটি পাতায় (মামলার দৈনিক কার্যতালিকায়) সংশ্লিষ্ট আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট/বিচারক/ রেজিষ্ট্রার/বিচারপতি (আদালতে আসীন ও প্রস্থানের সময় সহ) কর্তৃক স্বাক্ষর করা। যে কোন মামলার যে কোন বাদী-বিবাদী আদালতে থাকা মামলার কজলিষ্ট দেখে নিজের মামলার নং, বিচারের পর্যায় ও পরবর্তী ধার্য্য তারিখ জেনে নিতে পারেন॥

1 comment:

বিদেশ থেকে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া

এই জন্য অন্তত ১ দিনের জন্য হলেও  husband k বাংলাদেশে আসতে হবে বাংলাদেশে এসে  কাজী অথবা একজন আইনজীবীর কাছে যেতে হবে, সেখানে গিয়ে  তার স্ত্...