দেওয়ানী আদালতের পর্যায়ক্রম ও এখতিয়ার

দেওয়ানী আদালত আইন ১৮৮৭ এর ২০০১ সালের সংশোধনী অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন দেওয়ানী আদালত ৫ প্রকার। যথা-
১। জেলা জজ আদলত( THE COURT OF THE DISTRICT JUDGE) জেলা জজ আদালত কোনো মূল মোকদ্দমা বিচারের জন্য গ্রহণ করতে পারে না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে এবং আইনে উল্লেখ থাকলে জেলা জজ আদি এখতিয়ার বা মূল এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে এবং প্রাথমিকভাবে মোকদ্দমা করতে পারে।যেমন ট্রেডমার্ক আইন, কপিরাইট আইন এবং উইল বিষয়ে জেলা জজের আদি এখতিয়ার রয়েছে । >ইহা জেলার আপিল আদালত হিসাবে গণ্য হয়। >ইহার আপিল এখতিয়ার ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত (২০১৬ সালের সংশোধনী অনুসারে)। >জেলা জজ আদালত তার অধীনস্ত নিম্ন আদালতের মোকদ্দমা স্থানান্তর সম্পর্কিত দরখাস্ত, রিভিশন শুনানী গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করতে পারেন।
 

২।অতিরিক্ত জেলা জজ( THE COURT OF THE ADDITIONAL DISTRICT JUDGE) অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত কোনো আপিল বা মূল মোকদ্দমা সরাসরি গ্রহণ করতে পারেন না।তবে জেলা জজ আদালত অনুমতি প্রদান করলে সময়ে সময়ে অতিরিক্ত জেলা জজ তার আপিল এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারেন।

৩। যুগ্ম জেলা জজ আদালত(THE COURT OF THE JOINT DISTRICT JUDGE) >বিষয়বস্তুর মূল্য ২৫ লক্ষ ১ টাকা থেকে অসীম(২০১৬ সালের সংশোধনী অনুসারে)। > পূর্বোক্ত নাম –সাব জজ। > আপিল শুনতে পারেন- জেলা জজ কর্তৃক স্থানান্তরিত সিনিয়য় সহকারী জজ ও সহকারী জজ এর নিকট হতে আসা আপিল গুলো। > স্মল কজেজ কোর্ট ১৮৮৭- সর্বোচ্চ ২৫০০০ টাকা। > এখতিয়ার রয়েছে- অর্থ ঋণ আদালত ২০০৩ এর উপড়।

৪। সিনিয়র সহকারী জজ আদালত(THE COURT OF THE SENIOR ASSISTANT JUDGE) > আর্থিক এখতিয়ার -১৫ লক্ষ ১ টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত(২০১৬ সালের সংশোধনী অনুসারে) > স্মল কজেজ কোর্ট-১০০০০ টাকা পর্যন্ত। >নির্বাচনী ট্রাইবুন্যাল হিসাবে কাজ করে।

৫।সহকারী জজ আদালত(THE COURT OF THE ASSISTANT JUDGE) >আর্থিক এখতিয়ার- ১ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত(২০১৬ সালের সংশোধনী অনুসারে)।
> স্মল কজেজ কোর্ট- ৬০০০ টাকা পর্যন্ত। > পারিবারিক আদালত ও বাড়ি ভাড়া আদালত।