অনুরুপ বিবৃতি প্রদানের সময় বিবৃতিদানকারীর মৃত্যুর আশঙ্কা উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক এবং যে মামলায় তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন উটে তার প্রকৃতি যাই হউক, উক্ত বিবৃতি প্রাসঙ্গিক। এরুপ ঘোষণা লিখিত বা মৌখিক বা ভাব ভঙ্গির মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে। উক্ত ঘোষণা যে কারো নিকট প্রকাশ করতে পারে। ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বা বিশেষ ব্যক্তির নিকট হতে হবে এমন নয়।
সাক্ষ্য হিসাবে মৃত্যুকালীন ঘোষণাকে গ্রহণ যোগ্য করা হয়েছে মুলত দুটি
কারণে। প্রথমতঃ বাস্তব প্রয়োজন। কারণ নিহত ব্যক্তি অপরাধের একমাত্র চাক্ষুষ
সাক্ষী। তার বক্তব্য গ্রহণ না করলে বা বিবেচনার মধ্যে না আনলে বিচারের
উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে। মৃত্যুর পুর্বের বক্তব্য গ্রহণ না করলে পরে তাকে
সাক্ষী হিসাবে আর পাওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, আসন্ন মৃত্যু বুঝতে পারলে সে
ব্যক্তি আর মিথ্যার আশ্রয় নিবেনা এটাই স্বাভাবিক। পরকালিন চিন্তা তাকে
আচ্ছন্ন করে রাখবে। তাই আদালতে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে যে সাক্ষ্য নেওয়া হয়
মৃত্যুকালীন ঘোষণাকে তার সমপর্যায় ভুক্ত বলে মনে করা হয়।
No comments:
Post a Comment