Saturday, 16 March 2019

বিদেশ থেকে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া

এই জন্য অন্তত ১ দিনের জন্য হলেও  husband k বাংলাদেশে আসতে হবে
বাংলাদেশে এসে  কাজী অথবা একজন আইনজীবীর কাছে যেতে হবে, সেখানে গিয়ে  তার স্ত্রীকে তালাক প্রাদানের ঘোষণা দিতে হবে এবং যাবতীয় কার্যক্রমগুলো সম্পাদন করতে হবে।

একই সাথে উক্ত তালাকের ঘোষণার ৭ ধারা নোটিশ তার স্ত্রীর বর্তমান ঠিকানায় এবং স্ত্রী যে এলাকাতে স্থায়ীভাবে থাকে উক্ত এলাকার পরিষদের অফিসে পৃথক দুটি নোটিশ পাঠাতে হবে অর্থাৎ
এখানে সবথেকে গুরুত্তবপূর্ন যে কথাটি আপনাদের জন্য বলব তা হল  তালাকের ঘোষণা দেওয়ার দিন আপনারা অবশ্যই কাজীর কাছে থাকা তালাকের বোলিউমে আপনার স্বাক্ষর এবং টিপসই দিয়ে দিবেন এতে করে ৯০ দিন পরে যখন তালাক সম্পর্ন হবে তখন তালাকনামা কাজী আপনার মনোনিত প্রতিনিধিকে কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই দিতে পারবেন  অর্থাৎ
এখানে আরেকটি কাজ করবেন তা হল তালাকের ৭ ধারা নোটিশের সাথে আপনি যদি ৫০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে হলফনামা করেন তবে উক্ত হলফনামায় এটা উল্লেখ করবেন যে পরিষদ থেকে যখন উক্ত তালাকের মধ্যস্থতার জন্য স্বামী এবং স্ত্রী উভয় পক্ষকে আমন্ত্রন জানাবে তখন আপনার অবর্তমানে আপনার প্রতিনিধি হিসাবে কে উক্ত মধ্যস্ততায় উপস্থিত থাকবে.
অর্থাৎএছাড়া উক্ত ৭ ধারা নোটিশের সাথে আপনি যে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে তার পরমানস্বরূপ পাসপোর্টের একটি ফটোকপিও দিয়ে দিতে পারেন
অর্থাৎএখানে আরেকটি কথা বলে রাখি একজন ব্যক্তি তালাক দেশের যেকোন স্থান থকেই করতে পারবেন  অর্থাৎ মনে করুন আপনারা বিবাহ করেছেন কুমিল্লাতে এবং আপনার স্ত্রী বর্তমানে থাকেও কুমিল্লাতে এক্ষেত্রে আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাক ঢাকা থেকে দিতে পারবেন ।
তালাকের কাজগুলো ১ দিনের মধ্যেই সম্পাদন করে আপনি চাইলে আবার বিদেশে চলে যেতে পারেন
যাইহোক তালাকের ৭ ধারা নোটিশটি পাঠানোর দিন থেকে ১০০ দিন পূর্ন হবার পরে এবার একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানার পরিষদের অফিসে পাঠাতে হবে। সেখানে গিয়ে লিখিত আবেদন করে তালাকটি কার্যকর হয়েছে এই মর্মে একটি প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে আসতে হবে।
এবার উক্ত প্রত্যয়ন পত্রটি নিয়ে প্রতিনিধিকে যেতে হবে যে কাজীর মাধ্যমে তালাকটি দেওয়া হয়েছে উক্ত কাজীর কাছে সেখানে গিয়ে কাজীর থেকে তালাক নামা নিয়ে আসতে হবে।

Saturday, 11 November 2017

পালিয়ে বিয়ে করার পূর্বে যা জানা গুরুত্বপূর্ণ

আমার এই লেখার উদ্দেশ্য পালিয়ে বিয়ে করতে উৎসাহিত করা নয়, বরং পালিয়ে বিয়ে করার পর আইনি জামেলা সম্বন্ধে সাবধান করা।পালিয়ে বিয়ে করতে যেয়ে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে যেমন, মেয়ের পরিবার কর্তিক অপহরণ মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নারী নির্যাতনের মামলা, মেয়ের বয়স যদি ১৬ বৎসরের কম হয় তাহলে অপহরণ করে ধর্ষন সহ আর ও অসংখ্য মামলা, যার পরিণতি হতে পারে জীবনের সকল আশা আখাংকার সমাধি।
যারা ভালবাসার মানুষটিকে কোনভাবেই হাতছাড়া (অবশ্যই প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষের স্বাধীন সম্মতি ক্রমে) করতে চান না তারা নতুন জীবন শুরু করার আগে আইনি বিষয় জেনে অগ্রসর হওয়া উচিৎ। নতুবা নতুন সংসার শুরু করার আগে ভাগ্যে জুটবে জেল ও জরিমানার গ্লানি। পালিয়ে বিয়ে করতে গেলে মুসলিম ছেলে মেয়েদের মনে প্রথম প্রশ্ন জাগে বিয়েটার বৈধতা কেমন হবে ? বিয়েটাই বা কোথায় করতে হবে ? কোর্টে নাকি কাজী অফিসে ? ছেলেরা ভাবে, মেয়ের বাবা যদি মামলা করে দেয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাহলে কি জেল টেল খাটতে হবে ? ইত্যাদি।

অনেকে ভাবেন এসব ক্ষেত্রে হয়ত কোর্ট ম্যারেজ করতে হবে। কোর্ট ম্যারেজ টার্মটা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু এটা নিয়ে অনেকের ভুল ধারনা আছে। অনেকে যারা অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া বা পালিয়ে বিয়ে করতে চায় তারা কোর্ট মারেজ করতে যায় বা করতে চায়।
অনেকে মনে করেন কোর্ট ম্যারেজ হয়তো কোর্টে গিয়ে বিয়ে করা। অথবা মাজিস্ট্রেট-এর সামনে বিয়ে করা। আসলে তা নয়। কোর্ট ম্যারেজ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে কোন নোটারী পাবলিকের (সরকারী রেজিস্টার্ড উকিল) কাছে। তিনি আপনাদেরকে (বর কনে) ১০০ বা ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি হলফনামায় সই করাবেন যাতে লিখা থাকবে আপনারা প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্বজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন।
তার মানে কি দাড়ালো? বিয়ে আপনাদেরকে আগেই করতে হবে। কোথায়? যথারিতি কাজী অফিসে। রেজিস্ট্রী কাবিনমুলে। কাজী অফিসে কাবিননামায় সই করতে হবে । কাজি সাহেবকে আপনাদের এস এস সি-এর সার্টিফিকেট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেখাতে হবে বয়স প্রমানের জন্য। বয়স অবশ্যই মেয়ের বেলায় আঠারো ও ছেলের ক্ষেত্রে একুশ বৎসর হতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক ২ জন পুরুষ অথবা ১ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা সাক্ষী থাকতে হবে।
আর ঐ কাবিননামাই আপনাদের বিয়ের প্রধান আইনী দলিল। নোটারী পাবলিকের কাছে গিয়ে আপনি শুধু ঐ দলিলের আরও একটা সম্পূরক আইনী দলিল করে রাখলেন ভবিষ্যতে মামলা টামলায় একটু সুবিধা পেতে।
তবে জেনে রাখবেন, নোটারী পাবলিকের কাছে করা হলফনামার কোনো দাম নেই যদি আপনার রেজিস্টার্ড কাবিননামা না থাকে। কাবিননামা থাকলে আপনার বিয়ের পক্ষে আর কোনো ডকুমেন্টই লাগবেনা। কাবিননামাই সব।
বিয়ে হয়ে গেলে অনেক সময় দুই পক্ষের বাবা মা-রা মেনে নেয়, অনেক সময় মেনে নেয়না। অনেক সময় মেয়ের বাবা ক্ষেপে গিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করে বসে। মামলাগুলো হয় সাধারনত অপহরনপূরবক ধর্ষনের। নারী ও শিশু নির্যাতান দমন আইনে মামলার ধারাগুলো জামিন-অযোগ্য এবং আমলযোগ্য। অর্থাৎ পুলিশ এসব ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতের অনুমতি ছাড়াই আসামিকে এরেস্ট করতে পারে। তাই যখন শুনবেন মামলা হয়েছে তখন থেকে কিছুদিন পালিয়ে থাকুন কারন পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে কিন্তু প্রথমেই জামিন হবেনা। আর মানসিকভাবে শক্ত থাকুন, দুজনেই। মামলা (উক্তরূপ) হবার পর তদন্ত শুরু হবে। ভিকটিম (মেয়ের বাবার চোখে মেয়েটি এখানে ভিকটিম)-এর জবানবন্দী দিতে হবে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-এর সামনে। এটি নারী ও শিশু নির্যাতান দমন আইনের ২২ ধারার জবানবন্দি, ম্যাজিস্ট্রেট-এর চেম্বারে হয়। কেউ কোন প্রভাব খাটাতে পারেনা। এখানে মেয়েকে বলতে হবে, “আমি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি, আমাকে কেউ অপহরন করেনি’’ ব্যাস। তাহলে মামলায় পুলিশ আর চার্জশীট দেবেনা। আসামি (ছেলে) অব্যাহতি পাবে।
তবে মেয়ের বাবা পুলিশকে ঘুষ দিয়ে ছেলেকে কোন ডাকাতি বা মার্ডার কেইসে গ্রেফতার দেখানোর (shown arrest) ব্যবস্থা করতে পারে। আমাদের পুলিশ সব পারে ইনশাআল্লাহ।
এক পক্ষ হিন্দু বা মুসলিম বা অন্য ধ‌র্মের হলেও, ধর্ম পরিবর্তন না করেই বিয়ে করা সম্ভব।
Special Marriage Act-III of 1872 এর আওতায়। এর জন্য কাজীর মত আলাদা ম্যারেজ রেজিষ্টার আছেন।
আমার জানা মতে পুরাতন ঢাকতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে একজন রেজিষ্টার রয়েছেন। কারও প্রয়োজন হলে যেতে পারেন।

প্রবাসে মৃত্যু বরণ করলে মৃত দেহ কিভাবে দেশে আনতে হবে

প্রবাসে মৃত্যু বরণ করলে মৃত দেহ কিভাবে দেশে আনতে হবেপৃথিবীর প্রায় ১৬০টি দেশে আমাদের ১ কোটি সম্মানিত প্রবাসী কর্মী রয়েছেন। হায়াত-মৌত আমাদের হাতে নেই, যে কারও যে কোন সময় মৃত্যু হতে পারে। এ ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কিছু জিনিষ জেনে রাখা আবশ্যক..

মৃতদেহ দেশে আনয়নঃ
বিদেশী কর্মীর মৃতদেহ দেশে প্রেরণের জন্য প্রত্যেক দেশের নিজস্ব কিছু নিয়মকানুন আছে। অনেক দেশেই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কিছু এজেন্সি কাজটি করে থাকে। নিয়োগকারী কোম্পানী বা মৃতের স্বজন বা বাংলাদেশ এম্বেসীর চাহিদার প্রেক্ষিতে তারা কাগজপত্র প্রসেস করে মৃতদেহ বিমানে তুলে দেয়।
বাংলাদেশ এম্বেসীর শ্রম উইং (শ্রম উইং না থাকলে, কনস্যুলার উইং) ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। সার্টিফিকেটে মৃতব্যক্তি বাংলাদেশী কর্মী কিনা, বৈধ কিংবা অবৈধ কিনা ইত্যাদিসহ বিমানবন্দরে মৃতদেহ রিসিভারের নাম উল্লেখ থাকে।
বিমানভাড়া এবং প্রসেসিং ব্যয়ঃ
সাধারণতঃ এই ব্যয় নিয়োগকারী কোম্পানী/ব্যক্তি বহন করে থাকে। অবৈধতার কারণ দেখিয়ে নিয়োগকর্তা ব্যয় বহনে অপারগতা প্রকাশ করলে, আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবকে এই ব্যয় বহন করতে হয়। এ ধরনের ব্যবস্থাও না করা গেলে শ্রম উইংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড ব্যয়ভার বহন করে থাকে। তবে যে-ই বহন করুক না কেন, শ্রম উইংকেই সমন্বয়ের দায়িত্ব নিতে হয়।
বিমানবন্দরে মৃতদেহ গ্রহণঃ
শ্রম উইং থেকে প্রদত্ত ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে মৃতদেহ গ্রহণকারীর নাম উল্লেখ থাকে। রিসিভার বিষয়টি আগেই জেনে থাকেন। তবুও ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের পক্ষ থেকেও মৃতের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে জানানোর চেষ্টা করা হয়। নির্ধারিত সময়ে বিমানবন্দরের কার্গোগেইটে রিসিভারের ভোটার আইডি/পাসপোর্টের ফটোকপি ও এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিয়ে মৃতদেহ গ্রহণ করতে হয়। পাশাপাশি, মৃতদেহের সাথে প্রেরিত ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, ডেথ সার্টিফিকেট ও এয়ারওয়ে বিলসহ যাবতীয় কাগজপত্র বুঝে নিতে হয়।
বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে মৃতদেহ পরিবহন ও দাফন বাবদ ৩৫ হাজার টাকা অনুদান গ্রহণঃ
বৈধ বা অবৈধ যে কোন বাংলাদেশী কর্মীর ওয়ারিশই এই অনুদান পাবেন।
কার্গোগেইটে মৃতদেহ গ্রহণের পর মৃতদেহ গাড়িতে রেখে কাগজপত্রগুলো নিয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে যেতে হবে। গৃহীত কাগজপত্র সেখানে জমা দিতে হবে। অতিরিক্ত হিসেবে রিসিভারের ভোটার আইডির ফটোকপি, এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ওয়ারিশান সনদ জমা দিয়ে চেক গ্রহণ করতে হবে।
রিসিভার যদি মৃতের মূল ওয়ারিশ (স্ত্রী, পিতা, সন্তান) ছাড়া অন্য কেউ হন, সেক্ষেত্রে চেক গ্রহণের জন্য ক্ষমতা পত্রের প্রয়োজন হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না এনে থাকলে, পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে যে কোন সময় কাগজপত্রসহ এসে চেক নিয়ে যেতে হবে।
ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লক্ষ টাকার অনুদানঃ
যেসব কর্মী বৈধভাবে বিদেশ গিয়েছিলেন, তাদের সবার জন্য এটি প্রযোজ্য। বৈধভাবে বিদেশ গিয়ে পববর্তীতে অবৈধ হলেও পাবেন। এ ক্ষেত্রে মূলতঃ বহির্গমন রেকর্ড দেখা হয়। বহির্গমন বৈধ হলেই তাঁর ওয়ারিশ এ ক্ষতিপূরণ পাবেন।
এ জন্য সাধারণতঃ পৃথকভাবে আবেদন করতে হয়না। মৃতদেহ পরিবহন ও দাফন বাবদ ৩৫ হাজার টাকার চেক গ্রহণের সময় যে কাগজগুলো জমা দিতে হয় বা দেখাতে হয়, সেগুলোর কপি প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে ঐ দিনই ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডে অনলাইনে প্রেরণ করা হয়। কল্যাণ বোর্ড মৃতের বহির্গমন বৈধতা যাচাই অন্তে সঠিক পেলে স্থানীয় জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের মাধ্যমে ওয়ারিশান ও বন্টননামাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে তিন লাখ টাকার চেক স্থানীয় অফিসের মাধ্যমে মৃতের ওয়ারিশকে প্রেরণ করে থাকে।
** এই প্রসেস না-জানা থাকার কারণে কেউ অনুদান গ্রহণ না করে থাকলে, তিনমাসের মধ্যে বিমানবন্দরস্থ প্রবাসী কল্যাণ থেকে ৩৫ হাজার টাকার চেক গ্রহণ করতে পারবেন এবং যথানিয়মে তিন লক্ষ টাকার অনুদানের কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। তিন মাস পার হয়ে গেলে প্রথম থেকে মোট এক বছরের মধ্যে স্থানীয় জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক বরাবর ওয়ারিশ কর্তৃক উভয় অনুদানের জন্য আবেদন করতে হবে।

বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস যেসব সেবা দিয়ে থাকে

বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসীদের যেসব সেবা দেয়;- ১. বিদেশে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে এমন অবস্থায় কারও জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ট্রাভেল ডকুমেন্টের ব্যবস্থা করে দেয়। ২. পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে তা নবায়ন করে দেয়। ৩. মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ এবং নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করে দেয়। ৪. মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের আবেদন করার জন্য সাময়িক বা স্থায়ী জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করে।

৫. বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের সে দেশে জন্মগ্রহণ করা সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে এবং নবাগত শিশুর পাসপোর্ট করে দেয়।
৬. বিভিন্ন কারণে বিদেশে কারাদÐপ্রাপ্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের আইনি সহায়তা দেয়।
৭. বিদেশে কেউ মারা গেলে ওই দেশ থেকে লাশ পাঠাবার প্রশাসনিক কাগজপত্র প্রদান এবং আইনি পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে থাকে।
৮. জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক কিন্তু পরবর্তীতে অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে থাকলে তাদের জন্য পাসপোর্টে বিনা ভিসা সিলমোহর (নো ভিসা রিকোয়ার সিল) দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
৯. অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণে আগ্রহীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের ব্যবস্থা করে দেয়।
১০. বিদেশে বসবাসকালে ওই দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি, পড়াশোনা বা যে কোনো প্রয়োজনে কোনো কাগজপত্র দাখিলের প্রয়োজন হলে সেসব কাগজে প্রয়োজন অনুযায়ী সত্যায়িত করা, পাওয়ার অব অ্যার্টনি, হলফনামাসহ নানাবিধ কাজ করে দেয়।
১১. বিদেশে চাকরি করতে গিয়ে ওই দেশের মালিকদের দ্বারা প্রতারিত হলে বা কোনো সমস্যায় পড়লে প্রয়োজনীয় অভিযোগ করা যায় এবং পরামর্শ গ্রহণ করা যায়।
১২.বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত আন্তর্জার্তিক ড্রাইভিং লাইসেন্স ভেরিফিকেশন করে দেয়।
১৩. পুলিশ কিøয়ারেন্স সার্টিফিকেটের আবেদন গ্রহণ।
১৪. বাংলাদেশ মিশন এবং কনস্যুলেট আরও কী কাজ করে তা জানতে প্রত্যেক মিশনের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন বা ফোন করেও জেনে নিতে পারেন।

এয়ারপোর্টে ভোগান্তির শিকার হলে করনীয়

আপনি দেশে যাচ্ছেন অথবা দেশ থেকে ফিরে আসছেন। এই আসা যাওয়ার পথে আপনাকে এয়ারপোর্টে কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার মুখোমুখি হতে হয়।ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিমানবন্দরে নানা ধরনের হয়রানির অভিযোগ করে থাকেন অনেক যাত্রী।আপনি যদি এ ধরনের কোন ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিচের ঠিকানায় গিয়ে, ফোন করে বা ইমেইলে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন।
লক্ষ্য করুন : ঢাকা এয়ারপোর্টসহ বাংলাদেশের সব এয়ারপোর্টে এখন যাত্রীদের যে কোন ধরনের হয়রানি, প্রতারনাসহ যে কোন সমস্যায় সার্বক্ষনিক সাহায্য করার জন্য দুজন করে মেজিস্ট্রেট কাজ করছেন। অনিয়ম দর্নীতি দমনে আপনি চাইলে তাদের সাহায্য নিতে পারবেন। সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা ১২ মাসই তাদের সেবা আপনি গ্রহন করতে পারেন। নিচে ঢাকা এয়ারপোর্টে কর্মরত মেজিস্ট্রেটদের চারটি মোবাইল ফোন নম্বর দেয়া হলো। এগুলোতে ফোন করে আপনি আপনার প্রয়োজনে তাদেরকে পাশে চাইলেই তারা ছুটে আসবেন।
মোবাইল নম্বর গুলো হচ্ছে- ০১৮৬৬৫৪৪৪৪৪ ০১৭৮৭৬৬১১৪৪ ০১৮৬৬৫৬৬৬৬ ০১৭৮৭৬৬১১৬৬
এছাড়া ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস বিভাগের নম্বরও দেয়া হলো আপনি চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগেও অভিযোগ করতে পারেন।
ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে এই নম্বরে ফোন করুন OC Immigration +880-2-8914226, +88-01713373073 Addl. SP Immigration +88-01013373072 SS Immigration +88-01713373071
অনলাইনে অভিযোগ করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
http://www.immi.gov.bd/complain.php
কাস্টমস সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে আপনি যদি এয়ারপোর্টে কাস্টমস বিভাগের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি দ্বারা ভোগান্তির শিকার হন তাহলে আপনি নিম্নের ঠিকানায় স্বশরীরে গিয়ে, ফোন করে বা ইমেইলের মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারেন।
Customs, Excise & VAT Commissionerate, Dhaka(North)
Address :   House-6, Sonargaon & Janapath Road, Sector-11, Dhaka
Telephone :   02-8915165,8912664
Fax  :   02-8913433
Email :   commdkn@yahoo.com

বিদেশে যাওয়ার আগে যে বিষয় গুলো না জানলেই নয়?

কোথায় যাবেন? বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে যান তাদের একটি বড় অংশই হুট করে বিদেশে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। তারা ভাবেন বিদেশে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা। কিন্তু বিষয়টি তেমন নয়। কাজেই বিদেশে যাওয়ার আগে সময় নিয়ে ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করতে হবে। প্রথমেই ভাবতে হবে আপনি কোন কাজ জানেন। এরপর ভাবুন কোন দেশে যাবেন। কতো খরচ হবে। খরচের এই টাকা কোথা থেকে আসবে। ভাবুন যেই কাজে যাচ্ছে তাতে বেতন কতো? সব খরচ বাদ দিয়ে আপনার কতো থাকবে? কত বছরে আপনি খরচের টাকা তুলতে পারবেন। এসব চিন্তা ভাবনা করে তবেই বিদেশে যাবার সিদ্ধান্ত নিন। বাংলাদেশ থেকে চাকুরি নিয়ে যারা বিদেশে গেছেন তাদের মধ্যে ৯০ ভাগেরও বেশি গেছেন মধ্যপ্রাচ্যে। বিএমইটির হিসাব অনুযায়ী, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৮০ লাখ কর্মী বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে ২৫ লাখই গেছেন সৌদি আরবে। ২১ লাখ গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এছাড়া মালয়েশিয়ায় সাত লাখ, কুয়েতে পাঁচ লাখ, ওমানে ছয় লাখ, সিঙ্গাপুরে পৌনে চার লাখ, বাহারাইনে আড়াই লাখ ও লিবিয়ায় প্রায় এক লাখ কর্মী গেছেন। এগুলোই মূলত বাংলাদেশের প্রধান শ্রমবাজার। এর বাইরে মরিশাস, লেবানন, জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনেই এবং ব্রিটেন, ইতালি, গ্রিস, রুমানিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কিছু মানুষ যাচ্ছেন। এই দেশগুলোকে বলা হয় শ্রম গ্রহণকারী দেশ। এবার আপনি কোন দেশে যাবেন ভেবে নিন। তবে একটি প্রশ্ন সব সময় মনে থেকেই যায়? আপনি কিভাবে আগে থেকে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত এবং সঠিক ও বাস্তব তথ্য গুলো জানতে পারবেন? কারন দেশে বিভিন্ন এজেন্ট বা দালাল চক্র সবসময় মিথ্যা ভরসা দিয়ে থাকে। আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছে রয়েছেঃ বন্ধুরা আপনারা জেনে খুশী হবেন যে, আমিওপারি ইতালি থেকে পরিচালিত এবং সমগ্র ইউরোপ জুড়ে আমাদের টিম রয়েছে। এবং যাদের মধ্যে সবাই দীর্ঘদিন যাবত ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাস করে আসছেন। এবং আমরা সকলে মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে আমাদের এই প্রবাস জীবনের এই বাস্তব অভিজ্ঞতা গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। জেনো আপনারা ইউরোপ তথা বিদেশের যেখানেই যান!!আমাদের টিম এর মাধ্যমে পরিপূর্ণ তথ্য জেনে নিতে পারেন এবং দালাল চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
প্রয়োজন প্রশিক্ষণ বিদেশে যাওয়ার আগে ভাবতে হবে, কোন কাজে আপনার দক্ষতা বেশি। কোন কাজে নিজেকে যোগ্য মনে করেন। এরপর খোঁজ নিন কোন দেশে আপনার কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি, সেই দেশ এখন কর্মী নিচ্ছে কিনা। ঢাকার ১৩০ নিউ ইস্কাটন রোডের বায়রা ভবন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল (৭১-৭২ এলিফ্যান্ট রোড) ও দৈনিক পত্রিকাগুলোর মাধ্যমে বিদেশে নিয়োগের খবরাখবর জানা যাবে। এবং আমিওপারি সাইতে চোখ রাখলেও জানতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে যান তাদের পেশাজীবী, দক্ষ, আধাদক্ষ এবং অদক্ষ এই চারটি শ্রেনীতে ভাগ করা হয়। বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত যারা বিদেশে গেছেন তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অদক্ষ শ্রমিক। পেশাজীবীর সংখ্যা এক ভাগেরও কম। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সভাপতি আবুল বাশার বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে যেতে চায় তাদের বেশির ভাগই অদক্ষ শ্রমিক। কিন্তু তারা একটু প্রশিক্ষণ নিলেই দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। আর দক্ষতা বাড়লে তাদের বেতনও অনেক বেড়ে যাবে। কাজেই আপনি যে কাজে যেতে চাইছেন সেই কাজে দক্ষতা অর্জন করুন। এরপর বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন। বিএমইটির পরিচালক (প্রশিক্ষণমান ও পরিকল্পনা) নূরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিদেশগামীদের প্রশিক্ষণ দিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) রয়েছে। সেখানে নানান ধরনের কাজের প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়। এসব প্রশিক্ষণ নিয়ে কেউ বিদেশে গেলে তাঁর দক্ষতা যেমন বাড়বে তেমনি চাহিদাও বাড়বে।
পাসপোর্ট পাসপোর্ট হলো সরকারের দেওয়া পরিচিতপত্র যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যাক্তির জাতীয়তার পরিচয় প্রদান করার পাশাপাশি তাকে দেশের বাইরে যাবার অনুমতি দেওয়া হয়। আপনি যে দেশেই যেতে চান না কেন, প্রথমেই দরকার নিজের পাসপোর্ট। পাসপোর্টের ফরম পাওয়া যাবে পাসপোর্ট অফিস কিংবা ওয়েবসাইটেও। http://www.dip.gov.bd/এই ঠিকানায় মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) ফরম পাওয়া যাবে। একটি বিষয় মনে রাখুন, এখন আর হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। কাজেই অবশ্যই এমআরপি করুন। এমআরপি পাসপোর্ট পাওয়ার প্রক্রিয়া অনেক সহজ, কাজেই দালালের সহায়তা নেওয়ার কিছু নেই। সরাসরি নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।

কীভাবে চাকুরি পাবেন, কতো খরচ অভিবাসন প্রক্রিয়ার সাথে বাংলাদেশের যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত সেগুলো হলো, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি), সরকারি একমাত্র জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল এবং বেসরকারি প্রায় এক হাজার রিক্রটিং এজেন্সি যাদের প্রত্যেকের একটি করে লাইসেন্স নম্বর আছে। এর বাইরে আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজন আপনাকে বিদেশে নিতে সহায়তা করতে পারে। তবে অবশ্যই কোনো দালালের সহায়তা নেবেন না। বিএমইটির পরিচালন নূরুল ইসলাম জানান, বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা বা অন্যান্য সার্বিক সহযোগিতার জন্য মাঝখানের দালাল এড়িয়ে সরাসরি বৈধ কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। আর বিদেশ যেতে আগ্রহীরা আমাদের জেলা কার্যালয়ে গিয়ে নাম নিবন্ধন করতে পারেন। এমনকি তারা মুঠোফোনেও বিদেশে যাওয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে যেতে কতো খরচ হবে সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোন নীতিমালা করেনি সরকার। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। তবে মালয়েশিয়ায় ৮৪ হাজার টাকা অর লিবিয়ায় ৩৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো যদিও বিষয়টি দেখভালের কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে একটি সহজ উপায় হলো, যতো বেশি মধ্যসত্ত্বভোগীদের এড়িয়ে চলতে পারবেন ততোই খরচ কমবে। সরাসরি যদি কোনো রিক্রটিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় কিংবা বোয়েসেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায় তাহলে খরচ কম পড়বে। তবে খরচ কতো পড়বে তার চেয়েও বেশি জরুরি আপনি কতো টাকা বেতনে যাচ্ছেন। একটি বিষয় মাথায় রাখুন যতো টাকা খরচ করে যাচ্ছেন সে অনুযায়ী বেতন পাবেন কিনা। কতো দিনে সেই খরচ উঠবে। আর একটি বিষয় মনে রাখবেন, টাকা লেনদেন অবশ্যই ব্যাংকে বা রশিদের মাধ্যমে করবেন। পারলে সাক্ষী রাখবেন। রশিদ না রাখতে পারলে যতো টাকাই দিন না কেন তার কোনো বৈধতা থাকে না।

ত্যাজ্য বল্লেই কি পুত্র ত্যাজ্য হয়?

সিনেমায় ত্যাজ্যপুত্র কথাটি সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। কিন্তু বাস্তব জীবনও সিনেমার থেকে কম নাটকীয় নয়। ফলে অনেক সময় অভিভাবক ছেলের ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন। অনেকে হলফনামার মাধ্যমে নোটারি পাবলিকের সামনে সন্তানকে ত্যাজ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমাদের দেশের নাটক-সিনেমাতে তো ঘোষণা করামাত্রই পুত্র ত্যাজ্য হয়ে যায়।
সমাজেও ত্যাজ্যপুত্র ধারণাটি বেশ ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। কিন্তু প্রচলিত আইনে ত্যাজ্যপুত্রের ঘোষণার কোনো ভিত্তি নেই। এটি নিছক একটি ভ্রান্ত ধারণা। ত্যাজ্য বলে ঘোষণা করলেই পুত্র ত্যাজ্য হয়ে যায় না। এটি লোকমুখে প্রচলিত একটি শব্দ। আইন একে বৈধতা দেয় না।
আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, যদি কোনো মা-বাবা তাঁর সন্তানকে ত্যাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেন তবে সেই সন্তান চিরতরে তাঁর মা-বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। অনেক সময় দেখা যায় যে বাবা তাঁর সন্তানকে ত্যাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেন এবং হলফনামা করে লিখে দেন যে তাঁর মৃত্যুর পর সেই সন্তান সম্পত্তির কোনো অংশীদার হবেন না। এ ধরনের ঘোষণার আদৌ কোনো আইনি ভিত্তি নেই। মুসলিম পারিবারিক আইনে স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে কারা সম্পত্তির উত্তরাধিকার হবেন এবং তাঁদের অংশ কতটুকু হবে। মুসলিম আইন অনুযায়ী জন্মসূত্রেই কোনো সন্তান তাঁর পরিবারের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার অর্জন করেন এবং তাঁদের এ অধিকার কোনোভাবেই খর্ব করা যায় না।
তবে কোনো মা-বাবা দান, উইল বা বিক্রয়ের মাধ্যমে তাঁদের সম্পত্তি যে কারও কাছে হস্তান্তর করতে পারেন। এখানে মনে রাখতে হবে মুসলিম আইনে উইলের দ্বারা এক-তৃতীয়াংশের বেশি হস্তান্তর করা যায় না এবং ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তা কার্যকর হবে। জীবিতকালে কোনো মা-বাবা তাঁদের সম্পত্তি অন্য কাউকে যথাযথ উপায়ে দান না করে গেলে কিংবা বিক্রয় করে না গেলে মৃত্যুর পর তাঁদের সন্তানেরা অবধারিতভাবেই উত্তরাধিকারী হিসেবে সেই রেখে যাওয়া সম্পত্তির অংশীদার হবেন।
কিন্তু জীবিতকালে শুধু ত্যাজ্যপুত্র বলে ঘোষণা করে ভবিষ্যতে সন্তানেরা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন বলে দিলেই সন্তানেরা ত্যাজ্য হয়ে যাবেন না। সন্তানেরা অবশ্যই বাবা-মায়ের সম্পত্তির অংশীদার হবেন। যেকোনো দলিল সম্পাদন কিংবা হলফনামার মাধ্যমে ত্যাজ্য করার ঘোষণা আইনের চোখে অচল এবং আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করার সুযোগ নেই। যদি এমন হয় বাবা-মা ত্যাজ্যপুত্র বলে সন্তানদের ঘোষণা দিয়ে গেছেন এবং এ জন্য অন্য অংশীদারেরা তাঁদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছেন তাহলে সন্তানেরা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।
চাইলে দেওয়ানি আদালতে বাবা-মায়ের করা দলিলটি বাতিল চেয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারেন। কোনো বাবা-মা যদি তাঁদের অবাধ্য সন্তানকে কোনো সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চান তাহলে জীবিতাবস্থায় ওই সম্পত্তি অন্য কাউকে দান করে কিংবা বিক্রি করে সম্পত্তির দখল ছেড়ে দিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে যেটুকু সম্পত্তিই বাবা-মা নিজের নামে রেখে যান না কেন তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁর বৈধ উত্তরাধিকারীরা এ সম্পত্তির অংশীদার হবেন। এ থেকে জীবিত অবস্থায় কাউকে বঞ্চিত করার ঘোষণা মুসলিম আইন অনুযায়ী করা যাবে না।

বিদেশ থেকে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া

এই জন্য অন্তত ১ দিনের জন্য হলেও  husband k বাংলাদেশে আসতে হবে বাংলাদেশে এসে  কাজী অথবা একজন আইনজীবীর কাছে যেতে হবে, সেখানে গিয়ে  তার স্ত্...